গ্রন্থের নামঃ মৃত্যুক্ষুধা
ধরনঃ উপন্যাস প্রকাশঃ ১৯৩০ লেখকঃ কাজী নজরুল ইসলাম উপজীব্যঃ তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা |
উল্লেখযোগ্য চরিত্র
- মেজবউ
- প্যাকালে
- কুর্শি
- ওসমান
- রুবি।
প্লট
কৃষ্ণনগরে এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারকে কেন্দ্র করে ‘মৃত্যক্ষুধা’ উপন্যাসের কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে। মুসলিম পরিবারটিতে সদস্য বলতে এক বৃদ্ধা, তার বিধবা তিন পুত্রপধূ এবং একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য প্যাকালে। সে বৃদ্ধার ছেলে।
মেজ বউ সুন্দরী। মেজ বউয়ের সাথে প্যাকালের বিয়ে দেওয়ার কথা আলোচনা হয়। অন্যদিকে প্যাকালে এক খৃস্টান মেয়ে কুর্শিকে ভালোবাসে। মেজবউকে বিয়ে করতে অনাগ্রহ থাকায় প্যাকালে বাড়ি ছাড়ে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য চলে যাওয়ায় মেজ বউসহ অন্য সদস্যদের চরম দরিদ্রতার সম্মুখীন হতে হয়। ক্ষুধার মৃত্যসম যন্ত্রণা সঁইতে না পেরে মেজ বউ খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করলে মুসলিম সমাজের কটুবাক্য শুনতে হয়। একদিন মেজবউয়ের ছেলের মৃত্যু হয়। সে আবার ইসলাম ধর্মে ফিরে আসে এবং গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যেম নিজের খোকার (সন্তান) স্মৃতিকে উজ্জীবিত রাখার প্রয়াস হাতে নেয়।
প্যাকালেও কুর্শিকে ভালোবেসে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। পরবর্তিতে কুর্শি ও প্যাকালে ইসলাম ধর্মে ফিরে আসে এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
একসময় উপন্যাসের বিপ্লবী চরিত্র ওসমানের আবির্ভাব হয়। সে রুবিকে পছন্দ করে। কিন্তু রুবির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
বিপ্লবী হওয়ায় পুলিশ উসমানকে ধরে নিয়ে যায়। একদিন সে রুবিকে চিঠি লেখে এবং রুবি সে চিঠি গ্রহণ করে উত্তর করে। এভাবেই উপন্যাস শেষ হয়।
নামকরণের সার্থকতা
লেখক নিজেই উপন্যাসে বলেছেন, ‘একদিকে মৃত্যু, অন্যদিকে ক্ষুধা।’ এভবেই ক্ষুধার যন্ত্রণা এক সময় মৃত্যুসম হয়ে ওঠে ‘মৃত্যুক্ষুধা’; যা উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র মেজ বউয়ের জীবন কন্টাকাকীর্ন করে তোলে এবং নিজ ধর্মকে বিসর্জন দিতেও বাধ্য করে।